রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:: রাজধানীর হযরত শাহজালাল (র) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে চারটি দেশের বিশেষজ্ঞ টিম আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, তারা এসে তদন্ত করে দেখবেন এখানে কোনো অব্যবস্থাপনা ছিল কিনা।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিমানবন্দরের আগুনের ঘটনা তদন্তে অস্ট্রেলিয়া, চীন, ইংল্যান্ড ও তুরস্কের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত করে আগুন লাগার কারণটা কী, এর সঙ্গে কে দায়ী এটা বের করতে পারবেন।
বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ড একটি দুর্ঘটনা উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ করলেও আগুন ছড়িয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। ফায়ার সার্ভিস ফেল করেনি। তারা সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ করেছে। এয়ারপোর্ট অথরিটির চারটি ইউনিট চার মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ফায়ার ব্রিগেডের ইউনিটগুলোও ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে আসে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কারণ ওই জায়গায় খাদ্যপণ্য বেশি ছিল, কেমিক্যাল নয়।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ইলেকট্রনিক গেট স্থাপন দ্রুত চালুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ ছাড়া রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত ভোগান্তি কমাতে সরকার পদক্ষেপ নেবে বলেও আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
বিমানবন্দরের ফায়ার ইউনিটের সক্ষমতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, যে ফায়ার ইউনিট বিমান পরিচালনার জন্য থাকে, সেটি কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে-এতে কোনো সমস্যা নেই। যেমন- আমরা বাসায় যে পোশাক পরি, তা প্রয়োজনে পরে আত্মীয়ের বাড়িতেও যাওয়া যায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৮ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আর পরের দিন বিকেলে পুরোপুরিভাবে আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। অগ্নিকাণ্ডে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)